
আশিক তাজ, তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি : জন্মদিনে পথশিশু, অসহায় ও দুস্থদের ইফতার করিয়েছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল।
বুধবার (২৯ মে) মহাখালীর একটি রেস্টুরেন্টে তার জন্মদিনে প্রায় অর্ধশতাধিক পথশিশু, এতিম, অসহায় ও দুস্থদের নিয়ে তিনি এ ইফতারের আয়োজন করেন। এসময় করাইল ও সাততলা বস্তির পথশিশুরা তার ইফতারে অংশ নেন।
বুধবার ছিল মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের জন্মদিন। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সাতভাগিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা-মা দুজনেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই বুকের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা মেধাবী জুয়েল মোড়ল প্রাথমিক শিক্ষারস্তর সম্পন্ন করেন সাতভাগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। শিবচর নন্দকুমার ইন্সটিটিউশন থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে।

প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুল ও মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় বৃত্তি পাওয়া জুয়েল মোড়ল উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হোন রাজধানীর অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পূর্বে একই শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেন এ মেধাবী ছাত্রনেতা।
তিনি কেবল রাজনীতিবিদ হিসেবেই নন, তাঁর রয়েছে অসাধারণ মানবিক গুণাবলি। হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি এক আদর্শের প্রতিচ্ছবি। ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিসি। বিলাস-বাহুল্যবর্জিত সাধাসিধে জীবনযাত্রা এবং পোশাকে আশাকে তিনি নিজেকে মাটির মানুষ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় নেতা হিসেবে অসামান্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আসনে বসিয়েছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে এবং নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ আজ ছাত্রলীগের একটি মডেল ইউনিট হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে।
মানবিকতার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি জুয়েল মোড়ল। যেখানেই বিপর্যয় সেখানেই অকুতোভয় সৈনিকের মতো ছুটে গিয়েছেন তিনি।
বনানীন এফআর টাওয়ারে অগ্নি দূর্ঘটনায় মানবসেবায় ছিলেন জুয়েল। ঘন্টার পর ঘন্টা ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপ ধরে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। মাহমুদুল হক জয়েল মোড়ল বরাবরই মানবিক ছিলেন। নিজ পরিশ্রম এবং অর্থায়নে অনেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলেন। সবসময়ই প্রচারবিমুখ ছিলেন বলে নীরবে নিভৃতে অবহেলিত মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। গত ৯ এপ্রিল ঝড়ের কবলে গাছ উপরে পড়ে কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। টানা ২ঘন্টা বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। কিন্তু তিনি ফায়ার সার্ভিসের জন্য অপেক্ষা না করে নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে রাস্তার ওপর থেকে গাছ সড়ানোর কাজে নেমে পড়েন।
জন্মদিনের প্রথম প্রহরে তাকে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রসংসদে কলেজের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তার জন্মদিনের কেক কাটা হয়। দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
পথশিশুদের নিয়ে ইফতারের পর তার অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই পথশিশুদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করি, এবছরও করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে সবসময় যেন কাজ করে যেতে পারি সেজন্য সবার নিকট দোয়া চাই।’